বেকারের কর্মসংস্হান বনাম মেধার মূল্যায়ন – ৫-১০ লাখ টাকার খেলা শেষ!
bsl-mymensingh.org
গতকাল ১৫ হাজার ১৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৯ হাজার ৩১৭টি পদের বিপরীতে জাতীয় মেধা তালিকা অনুসরণ করে সর্বোচ্চ মেধাধারীকে নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রার্থীকে এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পুরো কর্মকাণ্ড কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। এখানে কারো কোন হস্তক্ষেপের সুযোগ ছিল না। ২১৮ পদের নিয়োগ সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রায় ৪০,০০০ যুবক সরকারি বেতনের চাকরির সুপারিশ পেয়েছে। এখন তাদের চাকরি সময়ের ব্যাপার মাত্র। ১ টা টাকা ঘুষ না দিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা এই চাকরি পেয়েছে। এ চাকরি তাদের মেধার স্বীকৃতি।
অথচ কিছুদিন আগেও একটা এমপিওভুক্ত স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পেতে ক্ষেত্রবিশেষে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হত। এর কিছু যেত ম্যানেজিং কমিটির পকেটে, কিছু স্কুল ফান্ডে ডোনেশন হিসেবে। কলেজের ক্ষেত্রে সে অংক আরো বড়ো। গড়ে যদি একজনের চাকরির পেছনে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হতো তাহলে ৪০ হাজার যুবক প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ঘুষ দিত।
অথচ সরকারের প্রত্যুৎপন্নমতিতার কারণে কোন চেষ্টা তদ্বির পয়সা খরচ ছাড়াই বিপুল পরিমাণের যুবক এ চাকরি পেতে যাচ্ছে।
কিন্তু আশ্চর্যজনক কারণে পুরো জাতি এ ব্যাপারে নীরব।বুঝতে পারছেন আপনারা, কত বড়ো একটা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। ৪০ হাজার প্রকৃত মেধাবী শিক্ষকতার পেশায় আসছে। এরা আমাদের শিক্ষার মান কোথায় নিয়ে যায় দেখুন। একটু অপেক্ষা করুন।
এর জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাই।